শিরোনাম
ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ২৯ মে, ২০২৩ (বাসস) : জেলায় প্রতি বছর বাড়ছে কাঁঠালের আবাদ। জেলার সীমান্তবর্তী বিজয়নগর, কসবা এবং আখাউড়া উপজেলার আবহাওয়া কাঁঠাল চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী। জেলায় প্রায় ৮৫৫ হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও আবাদ হয়েছে ৮৫৭ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে বিজয়নগরেই আবাদ হয়েছে ৪০০ হেক্টর জমিতে। পাহাড়ী এলাকার অনাবাদি জমি বিশেষ করে সড়কের পাশে, বাড়ি-ঘরের পরিত্যক্ত জায়গায় গাছে শোভা পাচ্ছে অসংখ্য কাঁঠাল। চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় ১০ হাজার মেট্রিক টন কাঁঠাল উৎপাদন হবে যার বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকা।
কাঁঠাল চাষি ও কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায় বৃষ্টিপাত না থাকায় গাছের পাতা ঝরে যাচ্ছে, কমে যাচ্ছে ফলন। ইতোমধ্যে পাইকাররা চাষিদের কাছ থেকে সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা দরে প্রতি ১শ’ কাঁঠাল কিনে নিচ্ছেন। পাশ্ববর্তী কুমিল্লা, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ জেলায় বাজারজাত হচ্ছে এসব কাঁঠাল। পরিচর্যার ঝামেলা ও রোগ-বালাই না থাকায় প্রতি বছরই বাড়ছে এর আবাদ।
বিজয়নগরের সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের কাঁঠাল চাষি হায়দার মিয়া জানান, চলতি মৌসুমে বৃষ্টির অভাবে কাঁঠালের ফলন কিছুটা কম হলেও সার্বিক ফলন ভ ালো।
চম্পকনগরের চাষি জসিম উদ্দিন জানান, আমরা স্থানীয় জাতের পাশাপাশি উন্নত জাতের কাঁঠাল আবাদেরও চেষ্টা করছি। আশা করি আমরা সফল হব।
জেলা কৃষি বিভাগ জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় ৮৫৭ হেক্টর জমিতে কাঁঠালের আবাদ হয়েছে। যা থেকে উৎপাদন হবে প্রায় ১০ হাজার মেট্রিক টন কাঁঠাল। স্থানীয় জাতের কাঁঠালের আবাদ হলেও বারোমাসি, থাইসহ বিভিন্ন উন্নত জাতের কাঁঠাল বাগান তৈরির জন্য চেষ্টা চলছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা জানান,স্থানীয় জাতের পাশাপাশি উন্নত জাতের কাঁঠালের বাগান স্থাপনের পরামর্শ দেয়ার কথা । তিনি বলেন-নারীদের পাশাপাশি শিক্ষিত বেকার যুবকদের কাঁঠাল চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকার কাঁঠাল উৎপাদনের আশা রয়েছে বলে তিনি জানান।