শিরোনাম
ঢাকা, ৩ জুন, ২০২৩ (বাসস) : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতি এবং অন্যান্য বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা থাকা সত্ত্বেও সরকারের ২ লাখ ৭৭ হাজার ৫৮২ কোটি টাকার অবকাঠামো উন্নয়ন বাজেট বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য একটি উৎসাহজনক পদক্ষেপ। সেই সাথে ন্যূনতম আয়কর ২০০০ টাকা নির্ধারণকে হিসাববিদদের সংগঠন দি ইনষ্টিটিউট অব চার্টার্ড একাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) ইতিবাচক হিসেবে দেখছে ।
শনিবার রাজধানীর কারওয়ানবাজার সিএ ভবনে বাজেট পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনের সংগঠনটির পক্ষ থেকে এমন মতামত তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন আইসিএবি’র টেক্সেশন ও কর্পোরেট ল’জ কিমিটির চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবীর এফসিএ । অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আইসিএবির সিইও শুভাশীষ বসু । মাল্টি মিডিয়া প্রেজেনটেশনের মাধ্যমে স্নেহাশীষ বড়ুয়া এফসিএ সম্মেলনে ট্যাক্স, ভ্যাট ও কাস্টমস সম্পর্কিত চিত্র তুলে ধরেন ।
মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, ন্যূনতম কর নতুন নয়। ৮২ (সি) ধারায় ব্যবসায়ে লাভ না হলেও বা অতিরিক্ত উৎসে কর আদায় করা হলেও ন্যূনতম আওতায় কর আদায়, অনাদায়ে সুদ আরোপসহ জরিমানার আইন কার্যকর আছে । বর্তমানে বহু ব্যাংক ডিপোজিট হোল্ডার আছেন বাস্তবে কর দেন (যা উৎসে কেটে রাখা হয় ) কিন্তু রিটার্ন জমা দেন না । রিটার্ন জমার আবশ্যকতার কারণে অনেকের রিফান্ড ক্রিয়েট হচ্ছে , তাদের ফাইল মেইনটেইন করতে সার্টিফিকেট ইস্যুর প্রয়োজন হতে পারে, তবে কস্ট রিকভারির জন্য এই ট্যাক্স ইম্পোজিশন অনৈতিক হবে না । এতে করে সবচেয়ে বড় যুক্তি হলো ট্যাক্স নেট তথা রিটার্ন দাতার সংখ্যা বাড়বে ।
আইসিএবিরর প্রেসিডেন্ট মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ডিভিএস বাস্তবায়ন হলে জাতীয় রাজস্ব বোর্র্ডের (এনবিআর) আর্থিক খাতের স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা বাড়বে। একই সাথে কর সংস্কার ও কর জিডিপি উন্নতি এবং রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে। কর-জিডিপি অনুপাতের প্রকৃত উন্নয়নের জন্য করনেট সম্প্রসারণ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। করনেট সম্প্রসারণে সরকারকে আরও পদক্ষেপ নিতে হবে।
প্রস্তাবিত বাজেটে বেশ কিছু বাস্তবভিত্তিক উদ্যোগ নেওয়ায় সরকারের প্রশংসা করেছে সংগঠনটি। যেমন- পরিবেশ সারচার্জ প্রবর্তন,যা পরিবেশকে রক্ষা করবে, যানবাহনের সংখ্যা কমাবে এবং পাবলিক ট্রান্সপোর্র্টের ব্যবহার বাড়বে। একাধিক যানবাহনে বিভিন্ন সিসি বা কিলোওয়াট-ভিত্তিক পরিবেশগত সারচার্জ আরোপ, ব্যবসা সহজীকরণের লক্ষ্যে, "মার্কেট প্লেস"কে ‘পণ্যের অনলাইন বিক্রয়’ এর সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করা,আমদানি বিকল্প পণ্য উৎপাদন উৎসাহিতকরণ এবং স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে করের বোঝা কমাতে “অপটিক্যাল ফাইবার কেবল" উৎপাদন পর্যাযয়ে ৫ শতাংশের বেশি ভ্যাট ছাড়ের প্রস্তাব। রিবেট বা রেয়াাত গণনার অস্পষ্টতা দূর করার জন্য আংশিক রিবেটের সূত্রে পরিবর্তন; বন্ডেড পণ্যের ছাড়পত্রের জন্য প্রাক্তন বন্ড বিল অফ এন্ট্রি জমা দেওয়া এবং সেইসাথে এটিকে চূড়ান্ত মীমাংসা করণের জন্য বিল অফ এন্ট্রির সংজ্ঞা প্রতিস্থাপন করা, স্থানীয় শিল্প রক্ষার জন্য কিছু পণ্য আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধির জন্য গৃহীত উদ্যোগ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মো. ইয়াসিন মিয়া এফসিএ, লুৎফুল হাদী এফসিএ, মোহাম্মদ ফোরকান উদ্দীন এফসিএ, মারিয়া হাওলাদার এফসিএ, মাহবুব আহমেদ ছিদ্দিকী এফসিএ, মোমেনা হোসেন রুপা প্রমুখ।