শিরোনাম
ঢাকা, ৫ জুন, ২০২৩ (বাসস) : ব্যাগেজ রুলের আওতায় বিদেশ থেকে স্বর্ণের অলংকার আনার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সীমা ৫০ গ্রাম করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এছাড়াও সোনা ও রূপার অলংকার বিক্রিতে আরোপিত ভ্যাট ৩ শতাংশসহ ১১টি প্রস্তাব আগামী বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছে বাজুস। সোমবার রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে বাজুস কার্যালয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বাজুসের সহ-সভাপতি ও বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ট্যারিফ অ্যান্ড ট্যাক্সেশনের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন।
এসময় উপস্থত ছিলেন বাজুসের উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল, বাজুসের সহ-সম্পাদক ও স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ট্যারিফ এন্ড ট্যাক্সেশনের ভাইস চেয়ারম্যান সমিত ঘোষ অপু, স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ট্যারিফ এন্ড ট্যাক্সেশনের সদস্য সচিব পবন কুমার আগরওয়াল প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে আনোয়ার হোসেন বলেন, বাজুস সব সময় স্বর্ণ বিক্রেতা ও ক্রেতা সাধারণের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে আসছে। তাই ক্রেতা সাধারণ ও বিক্রেতাদের সুবিধার দিকে দৃষ্টিপাত করে। ব্যাগেজ রুলের আওতায় বিদেশ থেকে গহনা আনার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সীমা ১০০ গ্রাম থেকে কমিয়ে ৫০ গ্রাম করার প্রস্তাব করছি। এতে করে স্থানীয় স্বর্ণ শিল্পীদের স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি স্থানীয় জুয়েলারি শিল্পের দিকে ক্রেতা সাধারণ আকৃষ্ট হবে। স্থানীয় স্বর্ণ শিল্পীদের বাঁচানোর স্বার্থে এটা সময়ের দাবি। বাংলাদেশের স্বর্ণ শিল্পীদের হাতে তৈরি গহনা স্থানীয় ও বিশ্ব বাজারে সমানভাবে সমাদৃত হয়ে থাকে। তাই স্থানীয় স্বর্ণ শিল্পীদের টিকিয়ে রাখার জন্যে সরকারের এই পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমরা মনে করি।
বাজুসের সহ-সভাপতি বর্তমানে জুয়েলারি ব্যবসার ক্ষেত্রে স্বর্ণ, স্বর্ণের অলংকার, রূপা বা রূপার অলংকার বিক্রির ক্ষেত্রে আরোপিত ভ্যাট হার ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করার দাবি জানিয়ে বলেন, স্বর্ণের অলংকার বিক্রয়ের ক্ষেত্রে আরোপিত ৫ শতাংশ ভ্যাট, ক্রেতা সাধারণের উপর বোঝা হিসাবে পরিলক্ষিত হয়। ফলে, অধিকাংশ ক্রেতা ভ্যাট প্রদানে অনীহা প্রদান করেন। যার প্রভাব পড়ে রাজস্ব আয়ে।
বাজুস বর্তমানে অপরিশোধিত আকরিক স্বর্ণের ক্ষেত্রে আরোপিত সিডি ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে আমদানি শুল্ক শর্তসাপেক্ষে ১ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করেছে। সংগঠনটি মনে করে, বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করার উদ্দেশ্যে আইআরসিধারী এবং ভ্যাট কমপ্লায়েন্ট শিল্পের ক্ষেত্রে এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে জুয়েলারি শিল্পে শৃঙ্খলা আসবে। এটি একটি আমদানি বিকল্প শিল্প হিসাবে পরিণত হবে। স্বর্ণ চোরাচালান বন্ধ হবে। আংশিক পরিশোধিত সোনার ক্ষেত্রে সিডি ১০ শতাংশের পরিবর্তে আইআরসিধারী এবং ভ্যাট কমপ্লায়েন্ট শিল্পের জন্য শুল্ক হার ৫ শতাংশ করা হোক।
বাজুস নেতৃবৃন্দ স্বর্ণের অলংকার প্রস্তুত করার উদ্দেশ্যে আমদানিকৃত কাঁচামাল ও মেশিনারিজের ক্ষেত্রে সকল প্রকার শুল্ক কর অব্যাহতি প্রদানসহ ১০ বছরের জন্য কর অবকাশ বা ট্যাক্স হলিডে প্রদানের প্রস্তাব করেন। বৈধভাবে স্বর্ণের বার, স্বর্ণের অলংকার, স্বর্ণের কয়েন রপ্তানি উৎসাহিত করতে কমপক্ষে ২০ শতাংশ মূল্য সংযোজন করার শর্তে, রপ্তানিকারকদের মোট মূল্য সংযোজনের ৫০ শতাংশ হারে আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া অনুরোধ করা হয়। এছাড়া এইচএস কোড ভিত্তিক অস্বাভাবিক শুল্ক হার সমূহ হ্রাস করে পার্শ্ববর্তী দেশসমূহের সাথে শুল্ক হার সমন্বয়সহ এসআরও সুবিধা প্রদানেরও প্রস্তাব করেন তারা।