শিরোনাম
ঢাকা, ১৪ জুন, ২০২৩ (বাসস): নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশের স্থলবন্দরগুলো স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ গঠনের মাধ্যমে আন্তঃদেশীয় বাণিজ্যে এক নতুন যুগের সূচনা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ বুধবার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ‘এক্সিলারেটিং ট্রান্সপোর্ট এন্ড ট্রেড কানেকটিভিটি ইন ইস্টার্ন সাউথ এশিয়া (একসেস)’ প্রকল্পের লাঞ্চ ইভেন্টে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশ ভারত, নেপাল, ভূটান ও মায়ানমারের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যের অপার সম্ভাবনার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এ কর্তৃপক্ষ প্রতিবেশী দেশসমূহের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিতে আধুনিক, নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব স্থলবন্দর বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৫টি স্থলবন্দর ইতোমধ্যে চালু করা হয়েছে এবং অবশিষ্ট ৯টি স্থলবন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে ২০৩০ সাল নাগাদ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আগামীতে আমাদের স্থলবন্দরসমূহ হবে স্মার্ট, আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব।
ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এর সাউথ এশিয়ার প্র্যাকটিস ম্যানেজার (ট্রান্সপোর্ট) মিস ফেই ডেং এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ এর সিনিয়র সচিব এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মিস শরিফা খান, সড়ক যোগাযোগ এবং মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নীলিমা আক্তার, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এর ভাইস প্রেসিডেন্ট (ইনফ্রাসটাকচার) মিঃ গোয়াংঝি চেন এবং একসেস এর সিনিয়র ট্রান্সপোর্ট স্পেশালিস্ট এবং টাস্ক টিম লিডার মিঃ এরিক নোরা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পূর্ব-দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সড়ক পথে বাণিজ্য সহজীকরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ কাস্টমস, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানে একসেস প্রকল্পটির মাধ্যমে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের জন্য সর্বমোট ৭৫৩ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা প্রদান করছে। এতে বাংলাদেশ সরকারের ৬৪৬ দশমিক ৪৫ কোটি টাকাও যোগ হবে। ঋণ সহায়তার মধ্যে বাংলাদেশে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের বেনাপোল, ভোমরা ও বুড়িমারী স্থলবন্দর ৩টির সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নে ২৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থাৎ ২ হাজার ৮শ ১০ কোটি টাকার কাজ অন্তর্ভূক্ত আছে।
উল্লেখ্য, একসেস প্রকল্পের আওতায় স্থলবন্দর ৩টিতে জলবায়ু সহনশীল ও গ্রীণ অবকাঠামো নির্মাণ, আধুনিক অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা, সৌর প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার, সিসিটিভি স্থাপনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা এবং স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক ব্যবস্থা ইত্যাদি কার্যক্রম অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। এছাড়া স্থলবন্দর ৩টির পরিচালনা দক্ষতা বৃদ্ধিকল্পে অটোমেশন এবং ডাটা শেয়ারিং-এর বিষয়টি আছে। এতে এক দেশের স্থলবন্দর হতে অন্য দেশে যানবাহন প্রবেশ এবং ত্যাগের পূর্বেই যানবাহন এবং পণ্য সংশ্লিষ্ট সকল তথ্যাদি প্রেরণ ও প্রাপ্তির জন্য কমন প্লাটফর্ম ব্যবহার করা সম্ভব হবে।