শিরোনাম
ঢাকা, ১৮ জুন, ২০২৩ (বাসস) : বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে আগামী অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নে সরকার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বলে মনে করে গবেষণা সংস্থা- সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে ৬ শতাংশের ঘরে নামিয়ে আনার লক্ষ্য অর্জনও কষ্টসাধ্য হবে। কারণ মূল্যস্ফীতির হার ইতোমধ্যে ৯ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।
রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘সিপিডি বাজেট ডায়ালগ-২০২৩’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বাজেট পর্যালোচনা করে এমন অভিমত তুলে ধরেছে সংস্থাটি। শুধু জিডিপি প্রবৃদ্ধির ওপর নজর না দিয়ে মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে জনগণকে সুরক্ষা দেওয়া এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষার ওপর জোর দিয়েছে সিপিডি।
সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, বিএনপি নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গবেষণা সংস্থা পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর, দ্যা ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস পত্রিকার সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ব্যারিস্টার সামির সাত্তার,কনজ্যুমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা ড. শামসুল আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সংলাপে সিপিডির বাজেট পর্যালোচনা তুলে ধরেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
সিপিডি জানায়, সামষ্টিক অর্থনীতিতে নানা ধরনের চাপ আছে। বাজেটে এনজিও ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কোম্পানি হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে কর আরোপের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে সংস্থাটি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ২ হাজার টাকা কর সবার জন্য নয়। প্লট, ফ্ল্যাট, গাড়ি ক্রয়সহ এ ধরনের উচ্চ পর্যায়ের লেনদেন যারা করবেন, তাদের এই কর বাধ্যতামূলক। মূল্যস্ফীতির বিষয়ে তিনি বলেন, গত কয়েকবছর যাবৎ সারাবিশ্বে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। আমরা চেস্টা করছি নিয়ন্ত্রণে রাখার। তিনি বলেন, নিন্ম আয়ের মানুষদের মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে স্বস্তিতে রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের ভাতা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ১ কোটি পরিবারকে ভর্তুকিমূল্যে নিত্যপয়োজনীয় পণ্য দেওয়া হচ্ছে।
প্রস্তাবিত বাজেটে সার্বজনীন পেনশন স্কীম চালুর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এটি সরকারের একটি সাহসী এবং উদ্ভাবনীমূলক উদ্যোগ। এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জিং হলেও কিন্তু সরকার সেটি বাস্তবায়ন করতে পারবে বলে তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। দেশের মানুষ এখন আর ধ্বংসাত্মক বা বিশৃঙ্খলার রাজনীতি পছন্দ করে না বলে পরিকল্পনামন্ত্রী মন্তব্য করেন।