বাসস
  ০৬ জুলাই ২০২৩, ১৮:৫৬

পচনশীল দ্রব্যের আমদানি-রপ্তানিতে নন-ট্যারিফ বাধা দূরীকরণ জরুরি : ভারতীয় আরআইএস প্রতিনিধি 

চট্টগ্রাম, ৬ জুলাই ২০২৩ (বাসস) : ভারতের মিনিস্ট্রি অব এক্সটার্নাল এফেয়ার্স এর রিসার্চ এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম ফর ডেভেলপিং কান্ট্রিজ (আরআইএস)’র সহকারী অধ্যাপক ড. পানকৌড়ি গৌর বলেছেন, পচনশীল দ্রব্যের আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে কিছু প্রতিবন্ধকতার কারণে পাশাপাশি দেশ হয়েও ভারতের সাথে সহজে বাণিজ্য হচ্ছে না। এ জন্য নন-ট্যারিফ ব্যারিয়ার দূরীকরণ এবং কৃষি ক্ষেত্রে পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ সাধন নিশ্চিত করলে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আজ সকালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়কালে ড. পানকৌড়ি গৌর এ মন্তব্য করেন। 
ভারতের মিনিস্ট্রি অব এক্সটার্নাল এফেয়ার্স এর রিসার্চ এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম ফর ডেভেলপিং কান্ট্রিজ (আরআইএস) ও রিসার্চ এসোসিয়েট রানা আমানত সিং-এর সাথে মত বিনিময়কালে চিটাগাং চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন, পরিচালক মো. রকিবুর রহমান (টুটুল), এসএম তাহসিন জোনায়েদ, মোহাম্মদ নাসিরুল আলম (ফাহিম), প্রাক্তন পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ এবং রিলায়েন্স এসেট্স্ এন্ড ডেভেলপমেন্টস (বিডি) লি.’র পরিচালক ওমর মুক্তাদির আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। 
চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ সম্পর্ক দু’টি প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ভৌগোলিক কারণে চট্টগ্রাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত। ক্রমবর্ধমান আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের চাপ সামাল দিতে সরকার বে-টার্মিনাল প্রকল্প গ্রহণ করেছে। আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে এখানে ৪ বিলিয়নের অধিক বিনিয়োগ আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের সাথে ভারতের নৌ-যোগাযোগ থাকলেও তার সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না। তাই দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য খরচ ও সময় হ্রাস করতে নৌ-যোগাযোগের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া উচিত। এছাড়া, কোলকাতা বন্দরে বাংলাদেশের জন্য আলাদা জেটি নির্মাণ এবং এ অঞ্চলের সাথে চট্টগ্রাম, মংলা ও পানগাঁও বন্দরের সাথে সরাসরি নৌ-যোগাযোগ বাড়ানো গেলে বাণিজ্য খরচ ও সময় কমবে। এবিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রতিনিধি দলকে আহবান জানান তিনি।  
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের সাথে ভারতের রয়েছে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি। এই ঘাটতি দূর করতে প্রথমত নন-ট্যারিফ প্রতিবন্ধকতা, দু’দেশের স্থলবন্দরসমূহের অবকাঠামো খাতের আধুনিকায়ন, রুলস অব অরিজিন’র সহজীকরণ এবং স্থল বন্দরসমূহে আধুনিক ওয়্যারহাউজ নির্মাণ করা প্রয়োজন। এছাড়া, বাংলাদেশ থেকে যে সকল কৃষিপণ্য রপ্তানি হয় তার অধিকাংশই স্থল বন্দরগুলোতে দীর্ঘদিন পড়ে থাকে টেস্টিংয়ের জন্য। ভারতের কেন্দ্রীয় মান নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্রের পর ওইসব পণ্য প্রবেশ করে। একইভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ্য আসার সময়ও একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। তাই এক্ষেত্রে যেই দেশ থেকেই পণ্য রপ্তানি করা হোক না কেন কমন টেস্টিং সনদের বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছানো গেলে বাণিজ্য আরো সহজ হবে। 
আরআইএস’র ড. পানকৌড়ি গৌর আরো বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত কৃষি ক্ষেত্রে অনেকটা স্বয়ংসম্পূর্ণ। মিঠা পানির মাছ, ফল, আলু ও অন্যান্য সবজি উৎপাদনে বাংলাদেশ অনেক অগ্রসর। আমদানি-রপ্তানি সহজীকরণের পাশাপাশি বিমসটেকভূক্ত দেশগুলো কিভাবে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশে খাদ্য রপ্তানি করতে পারে সেই বিষয়ে উচ্চতর গবেষণা প্রয়োজন।